তোমার জন্য
তুমি আজ সুদূর অতীতে থাক
স্বপ্নের গোধূলি সাথে নিয়ে
চলে গেছো অনেক দূরে,
সুখের পাখিরা আজ
তোমার ইচ্ছার শৃংখলে বন্দী।
প্রজাপতিরা আজ কেবল
তোমাকেই খোঁজে ফেরে।
ভোরের শিশির,পাখির ডাক,
পাতা নড়ার শব্দ,পরন্ত বিকেল
সবই আজ তোমার অধিনে পরাধীন।
তোমার ইশারায় সূর্য্য উঠে,
পাখি গান গায়,
বুনোহাঁস ঘরে ফেরে।
আবার তোমারই অসন্তোষে,
অশান্ত ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায় স্বপ্ন,
সাজানো সুখ,কিশোর বেলা,মধ্য বিকেল,
জীবন চালিকার সবটুকু নির্যাস।
তোমারই ইচ্ছায় মিথ্যে হয়ে যায়
বকুল তলার প্রেম,ফুলের মালার বন্ধন,সৃষ্টিসাক্ষী শ্বপত,
রক্তেরাঙ্গা সিঁথি,শিশির ভেজা অপেক্ষা,
তুমি নিতে পার মুঠো মুঠো
দিতে পার যখন যা ইচ্ছে।
অথচ, সামান্য বসতে চাওয়ার অনুরোধে
দূর থেকে ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিলে
"কোথায় বসাই আজ তোমাকে
বাড়িটি বন্ধক দিয়েছি,
আমার ঘরে আজ অন্য লোকের বসবাস,
তোমাকে দেবার মতো নেই আমার কাছে কিছুই
তোমাকে না পাওয়ার বেদনায়
বিলিয়ে দিয়েছি একে একে সব...।
মনের জানালা.খাট পালংক,
হৃদয়ের প্রতিটি প্রকোষ্ট,
স্বপ্নের ঘর দোর. মুখের ভাষা
অশ্রুভেজা সুখ,
জীবনের চাওয়া পাওয়া, সব...
* ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪১০ বঙ্গাব্দ। হেমন্তকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন